এক রহস্যময় দরজার দুই পাশে জড়িয়ে পাহাড়া দিচ্ছে দুই নাগ। যুগ যুগ ধরে নাগ দুটি এভাবেই পাহাড়া দিচ্ছে কেরালার তীর্থস্থান পদ্মনাভস্বামী মন্দির।
মন্দিরের গায়ে খোদাই করা নাগ দুটির মূর্তি। দরজার পেছনে আছে অতুল ঐশ্বর্য। ৫০০০ বছরের প্রাচীন মন্দির কেরালার তিরুবনন্তপুরমের পদ্মনাভস্বামী মন্দির। কলিযুগের শুরুর দিনের মন্দিরটিতে আছে ধনরত্নে পরিপূর্ণ মোট ছয়টি গুপ্ত দরজা।
কথিত আছে তখনকার রাজাদের সম্পত্তি মন্দিরটিতে লুকায়িত আছে। এখন পর্যন্ত ছয়টি দরজার মধ্যে পাঁচটিই খোলা হয়েছে তবে দ্বিতীয়টি বাদে। সেই দরজাটি নিয়েই জট পেকে আছে রহস্যের। দেবমূর্তির নিকটবর্তী আছে দ্বিতীয় দরজাটি।
দরজাগুলোর রহস্য ভেদ করতে কয়েক বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট সাত সদস্যের একটি কমিটির উদ্যোগ নিয়েছিল। পাঁচটি দরজা খুলতে সক্ষম হলেও বহু চেষ্টার পরও খোলা যায়নি দ্বিতীয়টি।
বাকি পাঁচটিতে পাওয়া গিয়েছিল রাশি রাশি হীরের গয়না, সোনা-রুপার বাসন, সোনার অস্ত্র, মূর্তি এবং ৫০০ কেজি ওজনের হীরের নেকলেস। সব স্বর্ণমুদ্রার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলের ৭ কেজি মুদ্রা‚ নেপোলিয়নের সমসাময়িক ১৮টি মুদ্রা।
সেখানকার মানুষের বিশ্বাস বহু চেষ্টার পরও খুলতে না পারা দ্বিতীয় ঘরে এর থেকেও বেশি ধন সম্পদ বিদ্যমান। তবে অনেকেই ব্যর্থ হয়েছেন মরচে ধরা প্রাচীন দ্বিতীয় তালাটি খুলতে। সেখানকার মানুষের বিশ্বাস প্রাচীন দরজাটি কোনো প্রযুক্তিও খুলতে পারবে না।
একমাত্র প্রকৃত জ্ঞানী সাধু বা তান্ত্রিক পারবেন নাগবন্ধনম মন্ত্র পড়ে দরজাটি খুলতে। তাদের ভাষ্যমতে,স্বয়ং অনন্তনাগ পাহাড়া দিচ্ছেন এটি। দরজাটি জোর করে খোলা হলে নেমে আসবে অভিশাপ। তারা দরজাটি খুলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
কেরালার নিয়ন্ত্রক ও অডিটর জেনারেল বিনোদ রাই এর মতে, ১৯৯০ সাল থেকে অন্তত সাত বার খোলা হয়েছে সেই দ্বিতীয় দরজাটি। তবে ভেতরে কী আছে তা প্রকাশ করা হয়নি। তাই আজও রহস্যই হয়ে আছে মন্দিরটির নাগ দিয়ে পাহাড়া দেওয়া দ্বিতীয় দরজাটি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।